স্বেচ্ছায় দংশিত হওয়া

স্বেচ্ছায় দংশিত হওয়া

স্বেচ্ছায় দংশিত হওয়া

‘চির সুখীজন ভ্রমে কি কখন … কভু আশীবিষে দংশেনি যারে’ কবিতার এই কথাগুলো ভ্রান্ত প্রমাণিত করে যুক্তরাষ্ট্রের টিম ফ্রেডি নিয়মিত বিষধর সাপের কামড় খেয়ে থাকেন। সবচেয়ে বিষধর সাপের কামড় খাওয়ার অভিজ্ঞতাও তার হয়েছে। গত ১৬ বছর ধরে প্রায় ১৬০ বার বিষধর সাপের কামড় তিনি খেয়েছেন। জানুয়ারিতে ফ্রেডির সাপে দংশিত হওয়ার ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা হয়। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এটি ২৯ লাখ বারের মতো দেখা হয়েছে।
টাইপ্যান আর ব্ল্যাক মাম্বা এই দুটি সাপের কোন একটি কাউকে কামড়ালে কয়েক মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু হওয়ার কথা। কিন্তু টিম ফ্রেডি এই দুই সাপে নিয়মিত দংশিত হয়ে এখনও বেঁচে আছেন। বয়স ৩০-এর কোটার ফ্রেডি জানিয়েছেন, সাপের কামড় খাওয়া তার গবেষণারই অংশ। সাপের বিষের ভ্যাকসিন তৈরি করতে চান শৌখিন এই বিজ্ঞানী। আজব এই নেশার কারণে ফ্রেডিকে ছেড়ে গেছেন তাঁর স্ত্রী। গত অক্টোবরে তিনি নিজেদের ২০ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কের অবসান ঘটিয়েছেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির অণুজীব বিজ্ঞানী ব্রায়ান হানলে ফ্রেডিকে পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, তাঁর শরীরে এখন এ্যান্টিবডির সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ। সাপের কামড় খাওয়ার কাজটি যে সহজ নয় সে অভিজ্ঞতাও ফ্রেডির হয়েছে। ২০১১ সালে কিং কোবরার কামড় খেতে গিয়ে তিনি একবার কোমায় চলে গিয়েছিলেন। ফ্রেডি বলেন, ‘প্রথম কামড়ের পর সব ঠিক ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় কামড়ের পর অজ্ঞান হয়ে যাই ওটা একটা বড় ভুল ছিল। কিন্তু কখনও কখনও একজন মানুষকে ওরকম ভুল করতে হয়।’ -মেট্রো নিউজ
Source: https://www.dailyjanakantha.com/details/article/186485
Photo Source: metro.co.uk